টারমিনোলজি(Terminology)
ওয়াইফাই হ্যাক করার আগে আমাদের আগে ওয়াইফাই এর টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ওয়াইফাই দিন দিন নতুন নতুন ফিচার সমৃদ্ধ হচ্ছে। এছাড়াও ওয়াইফাই এর কিছু বেসিক টার্ম আছে যেগুলো সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। ওয়াইফাই কে আমরা শর্ট ফর্ম এ “AP” বলি। এবং ওয়াইফাই ২.৪ গিগাহার্জ থেকে ৫ গিগাহার্জ এ সিগন্যাল পাঠাতে পারে।
এটা রাউটার ভেদে আলাদা হয়। তবে সাধারণত বাসায় যেই রাউটার ব্যবহার করা হয় তা ২.৪ গিগাহার্জ এর হয়ে থাকে। এছাড়াও রাউটার যে সিগন্যাল পাঠায় তার মধ্যে প্রকারভেদ আছে। এগুলো হল 802.11a, 802.11b, 802.11g এবং 802.11n, এই প্রকারভেদ অনুযায়ী ওয়াইফাই রাউটার বিভিন্ন স্পিড এ ডাটা সেন্ড ও রিসিভ করে। নিচে এর একটি ছক দেয়া হ
ওয়াইফাই এর সিকিউরিটি
ওয়াইফাই তে অনেক ধরনের সিকিউরিটি ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে অনেকগুলো অনেকবেশি সিকিউর। আর অনেকগুলো তেমন সিকিউর না। তাই রাউটার কোন ধরনের সিকিউরিটি ব্যবহার করছে তার উপর ভিত্তি করে ওয়াইফাই হ্যাকিং এর পদ্ধতি আলাদা হবে। নিচে ওয়াইফাই এর বহুল ব্যাবহৃত সিকিউরিটি সিস্টেমগুলো দেয়া হল
WEP(ওয়েপ)
ওয়েপ এর ফুল ফর্ম হল wired equivalent privacy, ওয়েপ হল ওয়াইফাই তে ব্যাবহৃত সর্বপ্রথম সিকিউরিটি ব্যাবস্থা। এই সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি হয়েছিল ওয়াইফাই কে সিকিউর করার জন্য। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার এই সিকিউরিটি সিস্টেম ভাঙ্গা কোন ব্যাপার না।
কয়েকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করেই ওয়েপ সিকিউরিটি বিশিষ্ট ওয়াইফাই হ্যাক করা সম্ভব। কেউ কেউ তো মাত্র ৫ মিনিটেই ওয়েপ পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে পারে। কেউ সাধারণত এখান আর ওয়েপ ব্যবহার করে না। তারপরেও যদি কেউ করে তাহলে আপনি চাইলে তা হ্যাক করে ফেলতে পারেন।
WPA
ওয়েপ এর আপডেটেড ভার্সন হল WPA, এটি তৈরি করা হয় ওয়েপ এর দুর্বলতা ঠিক করার জন্য। যদিও এটা ওয়েপ এর এনক্রিপশন ব্যবহার করে। তাও কিছু বাড়তি ফিচার থাকার কারণে এই ধরনের ওয়াইফাই হ্যাক করতে হ্যাকারদের একটু বেশি সময় প্রয়োজন হয়।
WPA2-PSK
যারা বাসায় কিংবা ছোট খাটো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে চান এবং সিকিউর থাকতে চান তাহলে আপনি WPA2-PSK ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই ধরনের ওয়াইফাই হ্যাক করতে অনেক বেশি কাঠ-খড় পোড়াতে হয়। এবং পাসওয়ার্ড যদি কঠিন হয় তাহলে এই ওয়াইফাই হ্যাক করতে অনেক বেশি সময় লাগবে।
এই ধরনের ওয়াইফাই হ্যাক করা কঠিন কারণ এই ওয়াইফাই PSK টেকনোলজি ব্যবহার করে। তবে এধরনের ওয়াইফাই হ্যাক করা সম্ভব। কারণ WPA2-PSK সিকিউরিটি সিস্টেমে WPS নামে একটি অপশন আছে। এটি দিয়ে WPA2-PSK এর সিকিউরিটি ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব।
WPA2-AES
ওয়াইফাই এর সিকিউরিটি সিস্টেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হল WPA2-AES। তাই যারা অফিস বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই বা ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায় তারা এই সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করে ওয়াইফাইকে সিকিউর করে। এবং অনেকেই আবার RADIUS সার্ভার এর সাথে রাউটার জুড়ে দেয়। ফলে আপনি ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারলেও যদি ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড যা জানেন তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এধরনের ওয়াইফাই ও হ্যাক করা সম্ভব।