১. নিয়মিত আপডেট
অনেকে ডেটা খরচ করার ভয়ে অ্যান্ড্রয়েড ওএস এবং অ্যাপস আপডেট করতে চান না। কিন্তু এটা হতে পারে ডিভাইস ও আপনার তথ্যের গোপনীয়তার জন্য । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপের কোডে ভুলত্রুটি ধরা পড়ে যা সাইবার হামলাকারীরা লুফে নেয়। ডিভাইস নিয়মিত আপডেট করলে এই ভয় থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবেন। এছাড়া লেটেস্ট আপডেট অনেক নতুন ফিচারও নিয়ে আসে।

২. ফোন লক করে রাখুন
আপনি যদি আপনার ফোন লক না করেন, তাহলে এর বিপদ টের পাবেন তখনই, যখন আপনার ফোনটি চুরি হয়ে যাবে, কিংবা অন্য কোনোভাবে বেহাত হবে। সেই দুর্দিনের অপেক্ষা না করে এখনই ফোন লক করে রাখুন। আনলক করার জন্য এখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেসিয়াল রিকগনিশনের মত সুবিধাজনক পদ্ধতি উপলভ্য আছে। সুতরাং কেন আপনি অরক্ষিত থাকবেন? আর হ্যাঁ, পাসওয়ার্ড ও পিন কোড সেট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন কিছু দিবেন যা কেউ অনুমান করতে পারবেনা।

৩. শুধুমাত্র অফিসিয়াল সোর্স থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য অফিসিয়াল ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত অ্যাপ ডাউনলোডের স্থান হচ্ছে গুগল প্লে স্টোর। বাইরে থেকে এপিকে ফাইল এনে ফোনে ইনস্টল করলে নিজের অজান্তেই ভাইরাসের কবলে পড়তে পারেন। গুগল প্লে থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোডের আগে সেটির রিভিউ এবং অ্যাপটি কতবার ইনস্টল করা হয়েছে তা দেখলে এর জনপ্রিয়তা ও সঠিকতা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

৪. এনক্রিপশন ব্যবহার করুন
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল ও এক্সটেন্ডেড স্টোরেজ পাসওয়ার্ড দিয়ে এনক্রিপ্ট করে রাখুন। তাহলে পাসওয়ার্ড ছাড়া অন্য কেউ কোনোভাবেই আপনার ফোনের কোনো ডেটা এক্সেস করতে পারবেনা। এনক্রিপ্ট না করলে ফোনের মেমোরি কার্ড অথবা ইন্টারনাল স্টোরেজে থাকা তথ্য সহজেই বের করে আনা সম্ভব। এনক্রিপশন চালু করতে স্মার্টফোনের সেটিংসের সিক্যুরিটি সেকশন দেখুন।

৫. পাসওয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট
অনেকেই ফোনের মধ্যে নোটস অ্যাপে বিভিন্ন অনলাইন সেবার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড লিখে রাখেন। এটা মারাত্নক ক্ষতিকর একটা অভ্যাস। এভাবে গোপনীয় ডেটা সংরক্ষণ করলে তা বেহাত হওয়ার বড় ধরনের আশঙ্কা থাকে। বরং কোনো পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপ ব্যবহার করুন (যেমন লাস্টপাস)। অথবা গুগল ক্রোমেও পাসওয়ার্ড সেভ করা যায়, যা গুগলের সার্ভারে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

৬. অব্যবহৃত অ্যাপ আনইনস্টল করুন
যদি এমন হয়, আপনি একটি অ্যাপ ব্যবহার করছেন না, তাও এটি ফোনে ইনস্টল করা আছে, তাহলে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি অ্যাপটি রিমুভ করে ফেলেন। কারণ বিভিন্ন অ্যাপ আপনার ডিভাইসের বিভিন্ন পারমিশন চায়। যত কম অ্যাপ ইনস্টল করবেন, ডিভাইস হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিও তত কম থাকবে।

৭. অপ্রয়োজনীয় কানেকশন বন্ধ রাখুন
যখন দরকার হচ্ছেনা তখন ফোনের মোবাইল ডেটা, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ এসব কানেকশন বন্ধ করে রাখুন। এগুলো যেমন আপনার ফোনের ব্যাটারি বাঁচাবে, তেমনি ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই হ্যাকের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করবে।
নবীনতর পূর্বতন