আর্থিক সংস্কার ভবিষ্যতের জন্যই তুলে রেখেছেন কিছু পদক্ষেপ দেখুন নিচে।

 

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে বাজেট পেশ করলেও সবপক্ষকে খুশি করার দায়টাও ঝেড়ে ফেলতে পারলেন না দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মহিলা অর্থমন্ত্রী।

♦ ২০২০ সালে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা

♦ জলপথ পরিবহণের পরিকাঠামো নির্মাণে জোর

♦ লিথুনিয়াম ব্যাটারি ও সৌরবিদ্যুতের যন্ত্রাংশ নির্মাণে করছাড়

♦ বিমা, সংবাদমাধ্যম ও বিমান পরিবহণে বিদেশি বিনিয়োগের সীমা বাড়ানোর ভাবনা

♦ কৃষকদের আয় বাড়াতে বহুমুখী ব্যবস্থা

♦ বছরে দেড় কোটি টাকার কম রোজগার করা ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন

♦ পরিকাঠামোয় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ

♦ ক্রেডিট গ্যারান্টি পর্ষদ তৈরির প্রস্তাব

♦ পরিকাঠামোয় বিনিয়োগে সুবিধা দিতে কমিটি

পরিকাঠামো ও বিনিয়োগ টানতে এইসব দাওয়াই কাজ করলেই অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠবে বলে আশা অর্থমন্ত্রীর।


লক্ষ্যপূরণ হবে, ধরে নিয়ে কল্পতরুও হয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিশেষত কৃষক ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য একাধিক ঘোষণা বাজেটে। কৃষির পাশাপাশি সম্ভবত এই প্রথম মৎস্যজীবীদের জন্য একাধিক প্রকল্প বাজেটে।

নজরে কৃষি

♦ কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি

♦ প্রতি বছর সহায়ক মূল্যের পর্যালোচনা

♦ প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা ঘোষণা

♦ পুকুর কাটা ও মাছের চারা বণ্টনে বরাদ্দ

♦ নির্দিষ্ট ব্লকে ফিসারি রিসোর্স সেন্টার

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে গুরুত্ব দেওয়ার আভাস আর্থিক সমীক্ষাতেই স্পষ্ট হয়েছিল।

♦ ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পেনশনের আওতায়

♦ বছরে ১.৫ কোটির বেশি টার্নওভার হলে সুবিধা মিলবে

♦ মুদ্রা প্রকল্পে আরও বেশি ব্যবসায়ীকে ঋণ

♦ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা বাড়তি ১ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন

♦ উৎপাদক ক্লাস্টারের মাধ্যমে সরাসরি পণ্য বিক্রি করবেন

♦ শিল্পীরাও এই ক্লাস্টার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন

ঘুরপথে আয় বাড়াতে পেট্রোল ও ডিজেলে কর বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি ও বিক্রিতে উৎসাহ দিতে সুবিধা দিয়েছেন।

টাকার বিনিময় মূল্য, রফতানি কমা, নতুন কর্মসংস্থান বা বৃদ্ধির হার বাড়ানোর কোনও দিশা বাজেটে নেই বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের বক্তব্য, নির্মলা সীতারমনও ভোটের দায় থেকে বেরতে পারেননি। আর্থিক সংস্কার ভবিষ্যতের জন্যই তুলে রেখেছেন।

নবীনতর পূর্বতন