গ্রাফিক্স কার্ড কী?
গ্রাফিক্স কার্ড হল মাদারবোর্ড এর সাথে সংযুক্ত এমন একটি ডিভাইস যেটা এক বা একাধিক মনিটরে দেখার জন্য ভিডিও আউটপুট তৈরী করে, এবং অন্যান্য ডিভাইস যেমন ক্যাপচার কার্ড, টিভি, হোম থিয়েটার, মিউজিক সিস্টেম ইত্যাদি এ ভিডিও দেখানোর কাজে সাহায্য করে। আজকাল গ্রাফিক্স কার্ড এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড সাউন্ড ডিভাইস থাকে। ফলে ভিডিও এর পাশাপাশি অডিও আউটপুটও পাওয়া যায়।

গ্রাফিক্স কার্ডে কী কী থাকে?
কোর ক্লক:
আগেই বলেছি যে এটা ভিডিও আউটপুট দিয়ে থাকে। এই কাজের জন্য সকল গ্রাফিক্স কার্ডে থাকে একটি ‘কোর ক্লক’ যেটা মাদারবোর্ড এর আসল প্রসেসরের মতই কাজ করে এবং নিজস্ব ফ্রিকোয়েন্সি রয়েছে। এটাকে বলা হয় GPU বা Graphics Processing Unit. এর স্পীড ২৫০ মেগাহার্টজ থেকে ৪ গিগাহার্টজ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই GPU যেকোন ছবিকে প্যারালাল পদ্ধতিতে পিক্সেলের পর পিক্সেল আকারে সাজিয়ে ছবি তৈরী করে। পিক্সেল (Picture থেকে Pix আর Element থেকে el নিয়েই Pixel)  হল যেকোনো ছবির ক্ষুদ্রতম অংশ যার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে, এবং তা লাল, নীল আর সবুজ ডট বা ফোঁটার সমন্বয়ে গঠিত।

ভিডিও বায়োস:
মাদারবোর্ড এর বায়োসের মতই গ্রাফিক্স কার্ড এর বায়োস অন্যান্য ডিভাইস ও অপারেটিং সিস্টেম এর কার্নেলের সাথে সংযোগ রক্ষা করে। এখানে কার্ডের ভোল্টেজ, মেমরি, ফ্যান স্পীড ইত্যাদি নিয়ে সেটিংস দেওয়া থাকে। অবশ্য এগুলো পরিবর্তন করে আরো বেশী পারফরমেন্স পাওয়া সম্ভব।

ভিডিও মেমরি:
র‍্যামের মতই গ্রাফিক্স কার্ডেও মেমরি থাকে যেটাকে ভিডিও মেমরি বলা হয়। বর্তমানে DDR ধরনের মেমরি নিয়ে গ্রাফিক্স কার্ড তৈরী করা হচ্ছে। DDR মানে হল Double Data Rate. অর্থাৎ গ্রাফিক্স কার্ডটি কি হারে ডাটা আদান প্রদান করবে তা নির্ভর করে এই মেমরি এর উপর। বিভিন্ন ধরনের মেমরি লেআউট রয়েছে। যেমন DDR, DDR2,  GDDR3, GDDR3, GDDR5. মেমরির সাথে ক্লক স্পীডের সম্পর্ক আছে। নিচের ছকে দেখে নিন কোন ধরনের মেমরিতে ক্লক স্পীড আর ডাটা রেট কত

নবীনতর পূর্বতন