লিনাক্স কার্নেলেই চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি লিনাক্স ডিস্ট্রোতে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাইরাস নির্মাতারাও তাই লিনাক্সের জন্য ভাইরাস তৈরীতে আগ্রহী হয় না। তাই ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, ট্রজান, রুটকীট, বটনেট,

স্পাইওয়্যার ইত্যাদির অস্তিত্ব লিনাক্সের জগতে এলিয়েনের মত। তবে লিনাক্সের জন্য পরীক্ষার নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৪৮ টি ম্যালওয়্যার তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ব্যবহারকারী পাসওয়ার্ড দিলেই এক্সিকিউট করবে।অপরদিকে উইন্ডোজের আছে মিলিয়ন মিলিয়ন ভাইরাস যেগুলো দিনে দিনে বাড়ছে। তাই এন্টিভাইরাস ছাড়া উইন্ডোজ কল্পনাও করা যায় না। উইন্ডােজের দুর্বল সিকিউরিটির উপর ভিত্তি করেই এসব এন্টিভাইরাস কোম্পানি ব্যবসা করে যাচ্ছে।

লিনাক্স কার্নেলেই বেশিরভাগ হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার বিল্ট ইন থাকে। তাই কোন হার্ডওয়্যার লাগালে সেটার জন্য আলাদা করে ড্রাইভার ইন্সটলের প্রয়োজন হয় না। তাই উইন্ডোজ এর  মত ড্রাইভার সফট্ওয়্যার হারিয়ে গেলে সেটা খোঁজা নিয়েও কোন সমস্যায় পড়তে হয় না।গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস এর দিকে উইন্ডোজ এর থেকে কম নয় লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ।


সফট্ওয়্যার ব্যবহার

লিনাক্সের সফট্ওয়্যার গুলো উইন্ডোজের মত এখান থেকে ওখান থেকে খুঁজে খুঁজে ডাউনলোড করতে হয় না।লিনাক্সের সব সফট্ওয়্যার এক জায়গাতেই থাকে যার নাম সফট্ওয়্যার রিপোজিটরি বা সফট্ওয়্যার সেন্টার। এখানে প্রত্যেকটি সফট্ওয়্যার ডেভেলপাররা টেস্ট করে তারপর আপলোড করে থাকে। এটা অনেকটা গুগল প্লে স্টোরের মত।শুধু পছন্দের সফট্ওয়্যারটি সার্চ করে ইন্সটল নাও বাটনে ক্লিক করলেই সেটা ডাউনলোড হয়ে ইন্সটল হয়ে যাবে।

লিনাক্স আপডেট দেওয়া শুধু একটি ক্লিকের ব্যাপার। লিনাক্স আপডেটে শুধু সিস্টেম আর সিকিউরিটি নয় বরং যেসব সফট্ওয়্যার আপনি ইন্সটল করেছেন সেসব সফট্ওয়্যারও অন্তর্ভুক্ত থাকে। লিনাক্সে শাটডাউন এবং রিস্টার্টের সময় আপডেট ইন্সটল হয় না তাই আপনি আপডেটে ক্লিক করে নিজের কাজ করতে পারবেন।


ওপেন প্ল্যাটফর্ম

লিনাক্স ডেভেলপাররা এর ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে। উইন্ডোজের মত ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে না। উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ১০ এ এমন সিস্টেম আছে যাতে আপনি কি কি সফট্ওয়্যার ইন্সটল করেছেন, কতক্ষন ধরে সেগুলো ব্যবহার করেছেন, কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন ইত্যাদি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইক্রোসফটের কাছে চলে যায়। তবে আপনি প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে এগুলো বন্ধ করতে পারেন কিন্তু মাইক্রোসফটের এসব নোংরা মানসিকতা তো আর বন্ধ করতে পারবেন না। Windows 10 আপনাকে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও সার্ভিসে যুক্ত করার চেষ্টা করবে। তাদের ইকো সিস্টেম, করটানা, ওয়ান ড্রাইভ, অফিস স্যুট ইত্যাদি যেন আপনি ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালাবে। লিনাক্সে এসব কিছুই হবে না কারণ আপনার প্রাইভেসির গুরুত্ব সবচাইতে বেশি।আরও জানতে ভিজিট করুন এখানে

নবীনতর পূর্বতন