What is Internet of Things(IoT) কি ?
জন চেম্বার্স CEO of Cisco বলেছিলেন “ সবকিছু ইন্টারনেট” তখন অনেকেই হেসেছিল তার কথা শুনে। কিন্ত আজ দেখা যাচ্ছে একটি শক্তিশালী বাজার তৈরী হয়েছে সারা বিশ্বে যার পরিমান ১৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশী। এবং ধারণা করা হচ্ছে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে সম্পূর্ন বাজার দখল করে নিবে ইন্টারনেট। ঠিক এই ধারণা থেকেই তৈরী হয়েছে Internet of Things (IoT).
আরেকটু খোলাখুলি করে যদি বলি Internet of Things নিয়ে তাহলে বলা যায় আমি ভোর ৫ টায় উঠব আমার এলার্ম ঘড়িটি আমাকে জাগিয়ে তুলবে ঠিক ৫ টায়। এর পরবর্তিতে আমি সাওয়ার নিব গরম পানিতে কিন্তু হিটার পানি গরম করতে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে থাকে। এই কাজটি আমি ঘুম থেকে উঠার আগেই আমার হিটার আমার জন্য করে রাখবে। এরি মধ্যে আমার জন্য কফি বানিয়ে রাখবে অটোমেটেড কফি মেকার। সাওয়ার সারতে সারতেই হয়ত আমার বাথরুম আমাকে গান শুনিয়ে দিবে আমার পছন্দ অনুযায়ী। কফি খাওয়ার পর আমার অফিসে যাওয়ার জন্য গাড়ি গেরাজের অটোমেটিক ভাবেই রেডি থাকেব যা কিনা গুগুল এর মাধ্যমে চলে থাকে। আমার কাছে এরি মধ্যে নটিফিকেশন এসেছে রাস্তায় আজ প্রচুর জ্যাম ২০ মিনিটি আগে বের হতে হবে যদি কিনা অফিস ঠিক মত পৌছাতে চাই এবং বসের ঝারি খেতে না চাই। এই যে আমার দিনটি শুরু হল নানান ধরনের ডিভাইসের সাহায্য নিয়ে ঠিক এটিকেই বলে থাকে Internet of Things(IoT). আপনার স্মার্ট ওয়াচ টির দিকে লক্ষ্য করুন এই ছোট একটি ডিভাইস আপনাকে কত রকম ভাবে সাহায্য করছে।
আর Internet থেকে Internet of Things(IoT) এ পরিবর্তনটাই হচ্ছে নতুন পরিবর্তনের বংশবৃদ্ধি। আর এ সকল কিছুর খারাপ দিকটি কি ভেবে দেখেছেন আপনি? আপনার পার্সোনাল বলে কিছুই আর থাকছে না। আপনার আমার পার্সোনাল তথ্য গুলো যে কেউ জেনে যাচ্ছে সিকিউরিটি না থাকার কারনে। খারাপ সংবাদটি হচ্ছে Mckinsey প্রতিষ্ঠানের এর জরীপে উঠে এসেছে এই অকার্যকর সিকিরিটির খরচ ২০২০ সাল নাগাত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে এবং ২০.৮ বিলিয়ন ডিভাইস যুক্ত হবে বিভিন্ন ভাবে ইন্টারনেটে ২০২০ নাগাত মানুষের দ্বারা।
ধরুন আপনার প্রেমিকা বা প্রেমিক হয়ত আপনার কাছে চিঠি লিখেছে আপনি হয়ত চিঠিটি পড়ে তা পুড়িয়ে ফেলছেন। কেউ যেন তা না দেখতে পায়। এ ব্যাপারটি সম্পূর্ন সিকিউর থাকবে বিশেষ করে চিঠির কথা গুলো। কিন্তু Internet of Things(IoT) এ ব্যাপার গুলো নেই। আপনার পার্সোনাল জিনিস বলে কিছু থাকবে না। এবং যত সব ঝামেলা বাধবে এই তথ্য নিয়েই সবার মাঝেই। মানুষ গুলো আমার আপনার পার্সোনাল ব্যাপার গুলোতে ব্যাঘাত ঘটাবে এবং হাস্যরস এর পাত্র বানাবে বা যা ইচ্ছে করতে পারে। এখন ভাবুন এবং প্রযুক্তি একটু মেপে ব্যবহার করুন।
আমাদের ডাটা গুলো কিন্তু এখন একটি দিনের জন্য নয় এটি সারা জীবনের জন্য রয়ে যাচ্ছে। ধরুন আপনি একটি মেরেজ মিডিয়ার ওয়েব সাইটে বিয়ের মেয়ে দেখার জন্য সাইন আপ করলেন। এবং একটি মেয়ে আপনার পছন্দ সই পেয়েও গেলেন। কিন্তু কোন একটি ঝামেলায় বিয়েটা আর হল না। ঠিক ১০ বা ২০ বছর পর হয়ত বা আপনি ২ বা ১ বাচ্চার গর্বিত পিতা। এখন কোন এক অমুক কোম্পানি আপনার তথ্য ফাঁস করল যেখানে এই তথ্যটিও আছে যে আপনি অমুক তারিখে অমুক মেয়েকে বিয়ের জন্য ঠিক করেছেন ছবি সহ বা ভিডিও সহ (হা হা হা)। এবার ভাবুন ভাবী কি করবে একটু চোখ বন্ধ করে। এই জন্য এখন বলে থাকে ডাটার কোন মৃত্য নেই।
পরিশেষে এইটাই বলব আপনি বা আমি কতটুকু প্রস্তুত Internet of Things এ যাওয়ার জন্য। এবং আমাদের ব্যক্তিগত বলে কি কিছু আর থাকবে। কতটুকুই নিরাপত্তা দিচ্ছে আমার আপনার ব্যবহার করা প্রতিদিনকার ডিভাইস গুলো।