লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। এই পরিস্থিতিতে কোথাও ফর্ম পূরণে কাটমানি নেওয়া, তো কোথাও ফর্ম নিতে গেলে বাড়ির বকেয়া ট্যাক্স জমা দিতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী ?


মমতা বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নয়। চিন্তা নয়। বিনামূল্যে ফর্ম পাওয়া যাবে। ক্যাম্প থেকে একটা ইউনিক নম্বর দেওয়া থাকবে। প্রথমে যে মা-বোনেরা আসবেন, তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে যাবেন। আগে যেমন দুয়ারে সরকারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হত। তার পর আর একটা ক্যাম্পে যেতেন। আমরা এটাকে সরলীকরণ করেছি। 

কীরকম সরলীকরণ ?

মমতা বলেন, দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্পে যাবেন। সেই ক্যাম্পে যে সরকারি অফিসার থাকবেন তিনি একটা ফর্ম দেবেন। সেই ফর্মে একটা নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে। তাঁর কাছেই সেই নম্বরটা রেকর্ড করা থাকবে। এই ফর্মের ডুপ্লিকেট করা যাবে না। এই ফর্ম ছাড়া অন্য কোনও ফর্ম জমা নেওয়া হবে না। যাতে এটা কেউ অপব্যবহার করতে না পারেন সেই জন্য। বিনামূল্যে ফর্ম পাওয়ার পর সেটা ওখানে পূরণ করে জমা দেবেন। ফর্মের সাথে একটা ইউনিক নম্বর থাকবে। সেই নম্বরটা সরকারের কাছে থাকবে। এটা আধার কার্ডের সঙ্গেও লিঙ্ক করে দেওয়া হবে। কম্পিউটার জেনারেটেড নম্বর। তাই নকল করে কেউ কিছু করতে পারবেন না। এই ইউনিক নম্বরটাই গ্রহণ করা হবে। যদি বাইরে থেকে কেউ ফর্ম ফিলআপ করার জন্য জোগাড় করেন বা অন্য এজেন্সি থেকে ২৫-৩০টা ফর্ম ছাপিয়ে নিয়ে বিতরণ করেন, সেগুলো কিন্তু গ্রহণ করা হবে না। একমাত্র দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্যাম্প থেকে যে ফর্ম পাবেন , সেটাই গ্রহণ করা হবে। 


তিনি আরও বলেন, উত্তর ২৪ পরগনায় রটিয়ে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে গেলে বাড়ির ট্যাক্স দিতে হবে। এরকম কোনও বিজ্ঞপ্তি সরকারের নেই। কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। যদি এরকম কেউ করে, শুনবেন না। যদি কোনও অভিযোগ থাকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে টোল ফ্রি নম্বরে জানাতে পারেন। ১০৭০/২২১৪৩৫২৬-এই নম্বরে। বাংলা সহায়ক কেন্দ্রেও অভিযোগ জানানো যাবে।




أحدث أقدم