চাকরি ছাড়ুন! 'এই' ৫ ব্যবসায় ঘরে বসেই লাভবান হন, আয় করুন লক্ষ লক্ষ টাকা...
করোনাভাইরাসের (Coronavirus)একের পর এক ঢেউ চরম ধাক্কা দিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে। বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে কর্মহীন (Work)হয়ে পড়েছেন। ভারতের মত বিপুল জনসংখ্যার দেশে এমনিতেই বেকারত্ব (Unemployment) একটি বড় সমস্যা। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত হুড়মুড় করে এসেছে করোনা। ফলে প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ কমেছে ।
আজ আমরা আপনাকে এমন ৫ টি ব্যবসার (Business Idea) সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা শুরু করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় না। আপনার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, আপনি নিজের কিছুটা সময় দিয়ে এই ব্যবসা (Business Proposal without Investment much) বৃদ্ধি করতে পারেন। পাশাপাশি আপনিও অন্যদের কর্মসংস্থানের (Work Opportunity) সুযোগ করে দিতে পারেন। আর সবথেকে বড় সুবিধে হল আপনি আপনার বাড়ি থেকেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ফলে যাঁরা এতদিন কাজ করার কথা ভাবেননি বাড়িতে পরিবারের দেখাশোনার কথা ভেবে তাঁরাও কিন্তু চাইলেই এই ব্যবসায় পা দিতে পারেন। রইল পাঁচটি বিকল্প বিজনেসের আইডিয়া।
১. কোচিং ক্লাস (Coaching Classes)
করোনা মহামারীর কারণে অনলাইন কোচিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি বাড়িতে বসেই এলাকার বাচ্চাদের টিউশন দিতে পারেন (Work Opportunity) । অতিমারী পরিস্থিতিতে অনলাইনেও চলতে পারে শিক্ষাদানের কাজ। আপনার পরিচিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন বাচ্চার সংখ্যা বাড়বে, তখন আপনি একটি কোচিং ইনস্টিটিউট খুলতে পারেন। যেখানে আপনি সব বিষয়ের যোগ্য শিক্ষক রেখে আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারেন এতে ছোটখাটো চাকরির চেয়েও কিন্তু ভাল আয়ের সুযোগ আছে।
২. ব্লগিং (Blogging)
মাস্টার অব অল ট্রেড না হলেও কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকে, জ্ঞান থাকে সকলেরই। সেইরকম নিজের দক্ষ ও ইন্টারেস্টের বিষয় কেন্দ্র করে কিন্তু ব্লগ খুলতে পারেন আপনিও। আজকের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে ঘরে বসে জ্ঞান ভাগ করার পাশাপাশি উপার্জনের পথ বের করে দেয় ব্লগিং। বিশেষ করে যদি আপনি কোনও বিষয়ে লেখার আগ্রহী হন, তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে পার্ট টাইম কাজ করতে পারেন। এতে ভালো আয় হতে পারে।
এটি ছাড়াও, আপনি আপনার দখলে থাকা বিষয়ের উপর একটি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। যদি বিষয়টি আকর্ষণীয় হয়, তাহলে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে খ্যাতি পাবেন। আজকের যুগে ইউটিউব আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কিছু ব্লগ প্ল্যাটফর্ম রিডার অনুযায়ী বিষয়বস্তু লেখককে অর্থ প্রদান করে। যেখানে অধিকাংশ ব্লগের ক্ষেত্রে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়।
৩. অনলাইন ব্যবসা (Online Business)
আরও একটি উপার্জনের দারুন পথ হতে পারে এটি। আপনি খুব কম টাকায় একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনের মতো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য, আপনাকে প্রথমে এই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি। আপনি সরাসরি সেই পণ্য প্রস্তুতকারকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এরপর কিছু জিনিস নিয়ে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে এগোতে পারেন বড় উপার্জন ও বিনিয়োগের দিকে।
৪. প্লেসমেন্ট সার্ভিস (Placement Service)
আজকাল সমস্ত কোম্পানি এবং ইনস্টিটিউটে প্লেসমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। বিশেষ করে সিকিউরিটি গার্ড, সুইপার, হেল্পার এবং সব ধরণের টেকনিক্যাল লোক মূলত কোনও না কোনও নিয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। আপনি আপনার বাড়িতে একটি প্লেসমেন্ট এজেন্সি খুলতে পারেন। তারপরে আপনি বড় সংস্থার সঙ্গে জুটি বেঁধে, এবং আপনার এজেন্সির মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থান দিতে পারেন। এটি একটি ছোট ব্যবসা যার কোন খরচ নেই। প্রতিটি বড় শহরে প্লেসমেন্ট এজেন্সি আছে। আইটি, মার্কেটিং, এইচআর, ফাইন্যান্স, অ্যাকাউন্ট, আইন, স্বাস্থ্যসেবা, সোশ্যাল মিডিয়ার জ্ঞানসম্পন্ন লোকেরা তাদের নিজস্ব কানসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেন।
৫) ট্রান্সলেটর
আপনি যদি হিন্দি ও ইংরেজিতে বা অন্য কোনও বিদেশী ভাষায় দক্ষ হন তাহলে বেছে নিতে পারেন এই পেশা। যদি ইংরেজি থেকে হিন্দি বা বাংলা থেকে ইংরেজি, যেকোনও ভাষায় অনুবাদ করতে পারেন, তাহলে আপনি ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটি একটি পার্টটাইম কাজ। আজকের যুগে, আপনি অনলাইন অনুবাদক হয়ে আপনার জীবিকাকে একটি নতুন মাত্রা দিতে পারেন। সমস্ত প্রতিষ্ঠান পার্টটাইম অনুবাদক রাখে। এটি ছাড়াও, আপনি প্রকাশনায় যোগ দিয়ে বড় অর্থ উপার্জন করতে পারেন। হাজার হাজার পৃষ্ঠার বই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়। আপনি এই ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে অনেক লোককে কর্মসংস্থান দিতে পারেন।